জীবনের একটি বড়ো প্রকল্পের নাম পরিবার; যার অন্যতম প্রধান চরিত্র নারী। ধারণা করা হয়, পরিবারের সামগ্রিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যরে অনেকাংশই নারী সদস্যদের ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাঁধে চাপানো থাকে সবার মন জোগানোর দায়িত্বটাও। তাই নারীকে হতে হয় বিচক্ষণ ও নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। অপরিহার্য হয়ে পড়ে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কোন্নয়নের; আপন সঙ্গী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের সঙ্গে বোঝাপড়ার, পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও খুঁটিনাটি বিষয়ে সমঝোতার।
লেখিকার বেশকিছু জনপ্রিয় ছোট ছোট পুস্তিকার সমন্বিত উপস্থাপনা হলো এই বাতিঘর বইটি। সুতরাং একের মধ্যেই অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে অনায়াসে। বইটি হলো পারিবারিক বন্ধন,পারস্পরিক দায়িত্ববোধ,ভালোবাসা ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের দিকনির্দেশনা স্বরুপ। এছাড়াও বইটিতে পরিবারে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, কলহ মেটাতে ত্যাগ, উদারতা,ইতিবাচক মনোভাব, ভালোবাসার গুরুত্ব, দ্বীন পালনে সর্বদা কঠোরতা অবলম্বন, ইসলামের দৃষ্টিতে নারী পুরুষের সম্পর্ক, নারীর পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান, উভয়ের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান,বিজাতীয় অনুকরণের নমুনাসমূহ,কিছু শিরকি কাজের উদাহরণ, নারীদের উপর নির্যাতনের বেশ কয়েকটি কারণ,আল্লাহকে ভালোবাসার নিদর্শন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসা, বিভিন্ন নফল ইবাদত এবং বেশকিছু কবীরা গুনাহ সম্পর্কে লেখিকা কুরআনুল কারিম ও হাদিসের আলোকে এবং নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার দরুন বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক ঘটনা উল্লেখ করে খুব সহজ সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা বইটি না পড়ে পাঠকরা সত্যিকারার্থে উপলব্ধি করতে পারবে না।
সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জনপ্রিয় লেখিকা মাসুদা সুলতানা রুমির জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারা সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
পথ চলা শুরু হোক সেই অনন্ত ভালোবাসার পথে…
Reviews
There are no reviews yet.