“সময়টা বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক।চারদিকে ইসলামী খেলাফতের শেষ সূর্য উসমানী খিলাফতকে অস্তমিত করার চক্রান্ত চলছিলো জোরেশোরে। দীর্ঘ ছয়শত তেইশ বছর পর সেই সূর্যকে অস্তমিত করার চক্রান্ত সফল হয় তুর্কিজাতির সেক্যুলার মহানায়ক মোস্তফা কামাল পাশার মাধ্যমে।তুর্কিজাতির ইসলামী চেতনাকে ধ্বংস করতে এবং উসমানী খিলাফতের গৌরবময় ইতিহাসকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন কোন হীন কাজ নেই যা কামাল আতাতুর্ক করেনি।
তবে চিরন্তন সত্য কথা এই যে,ইসলামের বাণীকে কেউ কখনো দাবিয়ে রাখতে পারেনি।বরং যখনই ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে,তখনই তা প্রবলবেগে ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিক।মহান আল্লাহ বলেন:-“তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়।আল্লাহ তাঁর আলো পূর্ণরুপে বিকশিত করবেন,যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।”(সূরা আস-সফ:৮)
যুগে যুগেই যখন ইসলামকে শেষ করতে চেষ্টা করা হয়েছে,তখনই কেউ না কেউ মুয়াজ্জিন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে,মুয়াজ্জিনের মতই কল্যাণের পথে ডেকে ডেকে মানুষকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।সেরকমই একজন মুজাদ্দিদ (যুগের সংস্কারক), অগ্রনায়ক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী(রহি.) কে নিয়ে লিখা এই বইটি।
জাহিলিয়াতে ভরা দুনিয়ার সামনে যিনি তুলে ধরেছিলেন ইসলামী সৌন্দর্যের নতুন দর্পন।আবির্ভূত হয়েছিলেন কালের বিস্ময় হয়ে।তাই বিংশ শতাব্দীর এই মহানায়কের উপাধি ছিলো বদিউজ্জামান(কালের বিস্ময়)।
মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে তাঁকে বরণ করে নিতে হয়েছিলো জালিমের জেল-জুলুম,নির্বাসনকে।৮৩ বছরের জীবনের প্রায় অর্ধবয়সেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন জেল ও বিভিন্ন জায়গায় নির্বাসনে।
বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, তিনি যেখানেই যেতেন মানুষ তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়তেন।তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বিভিন্ন জেলে গড়ে তুলেছিলেন “ইঊসুফের পাঠশালা”।জেলের দাগী আসামীগুলোও গড়ে উঠেছিলো খাঁটি মানুষ হয়ে।জালিমের জুলুমকে আল্লাহর দ্বীনের কাজে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন সাঈদ নুরসি।তিনি তাঁর নির্বাসনের সময়গুলোতেই রচনা করেছিলেন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি রিসালায়ে নূর।
বইটিতে লেখক বদিউজ্জামানকে জানতে হলে রিসালায়ে নূরকে জানতে হবে বলে দাবী করেছেন।আসলেই তাই,বইয়ের শেষের দিকের রিসালায়ে নূরে’র কিছু প্রবন্ধের বর্ণনা আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে বদিউজ্জামানের জ্ঞানের গভীরতার সাথে।
Reviews
There are no reviews yet.