বিশ্বনবী (সাঃ) এর জীবন সম্পর্কে জানা, এবং তাকে অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন,
‘আল্লাহর রাসূলের মাঝে তোমাদের জন্য আছে ভালো ভালো উদাহরণ।’ (৩৩:২১)
কোয়ালিটি টাইম বা মানসম্পন্ন সময় বলে আমরা একটা বিষয় জানি। শিশুদের বেড়ে ওঠা ও শেখার জন্যে উপযুক্ত সুযোগ কী হতে পারে তা বিশ্বনবীর খেলাধুলা হতে জানা যায়। বিশ্বনবী (সাঃ) ছোটবেলার জীবন যাপন সত্যি যে সারা বিশ্বের জন্যে রোল মডেল ছিলেন সেটা তার বাল্যকালের জীবনির মাধ্যমে লেখক এখানে সুনৈপুন্য ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা অনুসরন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সেই আদর্শে গড়ে তুলত সক্ষম।
সীরাত বিশ্বনবী (সাঃ) এর জীবনের উজ্জল প্রতিচ্ছবি। সীরাত গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে বিশ্বনবী (সাঃ) কে না দেখেও তাঁর অসাধারণ জীবন সম্পর্কে বেশ সুন্দর ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বনবী (সাঃ) এর ব্যাপারে যেসব জীবনী লেখা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগে দুটো জিনিস প্রায়ই পাওয়া যায় একটি হল রাসূল (সাঃ) এর নবুওয়াতী জীবন আর পাঠকদের মধ্যে তাঁর ব্যাপারে সম্ভ্রম জাগানো। এই রকম সীরাত গ্রন্থগুলোতে তরুণ পাঠকেরা নিজেদের কমই খুঁজে পায়। নিঃসন্দেহে তিনি আমাদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার পাত্র। আমরা প্রিয় নেতাকে জীবনের চেয়েও ভালোবাসি। কিন্তু আমরা তাঁকে এমন সম্ভ্রম-জাগানিয়া নিখুঁত মানুষ হিসেবে তুলে ধরি যে, আমাদের সময়ে তাঁকে অনুসরণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই বড় শিক্ষক হতে পারে সেটা বিশ্বনবী (সাঃ) এর পরিবার থেকে বুঝা যায়। উল্লেখ্য যে বিশ্বনবী(সাঃ) এর জীবনিতে বর্ধীত পরিবারের পরিচয় পাওয়া যায় যেখানে প্রত্যেকে সক্রিয় শিক্ষক।
পৃথিবীতে মানুষ যতটা নিখুঁত হতে পারে নিঃসন্দেহে বিশ্বনবী(সাঃ) তা-ই ছিলেন। কিন্তু এটা সত্য যে তিনি ছিলেন মানুষ। মানুষ হিসেবে অনেক সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এসব বিষয়ে প্রিয় নবিজী আর আমাদের মাঝে দারুণ কিছু মিল আছে। আমরা তরুণ-তরুণীরা কখনো চিন্তা করি না যে, বর্তমান যুগে আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখী হয়ে দিন পার করছি, বিশ্বনবী (সাঃ) ও ঠিক এমনই কিছু সমস্যার মোকাবিলা করেছেন এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে টিকিয়ে রেখে তার পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করেছেন ।
নবিজির ﷺ মতো হওয়া কি খুব সহজ?
ঘরে এসে যখন শুনলেন খাবার নেই, তখন তিনি নফল সিয়ামের নিয়্যত করে ফেললেন। আমরা হলে কী করতাম?
প্রথম কয়েক বছর মানুষের কাছ থেকে বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও কীসের বলে নিরলস দ্বীন প্রচার করে গেছেন? কীভাবে অর্জন করলেন অটুট মানোবল? কীভাবে রপ্ত করলেন এক অসম্ভব সুন্দর ভাষা, যা শুনলেই মানুষের হৃদয়ে ছাপ ফেলে দিত? কেমন ছিল তাঁর শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য আর যৌবনের উচ্ছল দিনগুলো? নবিজির ﷺ জীবনী পড়তে গেলে আমরা সাধারণত তাঁর নবুওয়্যত পরবর্তী জীবনেই বেশি গুরুত্ব দিই, কিন্তু এর ভিত্তিটা যে মহান আল্লাহ তাঁর নবুওয়্যতপূর্ব ৪০ বছরের জীবনে ধীরে ধীরে তৈরি করেছিলেন, সেটা কজন ঘেঁটে দেখি?
প্রচলিত অর্থে কোনো সিরাত বই নয় এটি। কোনো তাত্ত্বিক ঘটনার বিবরণও না। এখানে আপনি পাবেন ব্যবহারিক কিছু জ্ঞান। হাতে-কলমে শিখবেন নিজের বাচ্চাকে নবিজির ﷺ মতো করে বড়ো করার উপায়। টিনএজ বয়সি হলে জানতে পারবেন এই উড়ুউড়ু সময়টাতে নিজেকে বাগে রাখার কৌশল। বিবাহিত হলে আছে দুজনে মিলে জীবনটাকে আরও মধুর করার টোটকা। সর্বোপরি নবিজির ﷺ মতো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ হওয়ার তরিকা। তবে চলুন স্মার্ট হই প্রিয় নবিজির ﷺ মতো..
Reviews
There are no reviews yet.