প্রোডাক্টিভ শব্দটির পাশে মুসলিম! বড্ড বেমানান ঠেকছে না? মুসলিম আবার প্রোডাক্টিভ হতে পারে?
‘প্রোডাক্টিভ তো হবে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা। গবেষক, বিজ্ঞানী, দর্শনবিদ নীতিশাস্ত্র বিদেরা তাদের প্রোডাক্টিভিটির মাধ্যমে গোটা বিশ্বে আলোকবর্তিতা ছড়াবে। একজন মুসলিম প্রোডাক্টিভিটির সংজ্ঞায় বোঝে না। কেননা ইসলাম প্রোডাক্টিভ জীবনব্যাবস্থার শিক্ষা দেয় না।’
হ্যাঁ। এই কথাগুলো ইসলামবিরোধী, একদল বৈরাগ্যবাদীদের মিথ্যা বয়ান মাত্র। গোটা মুসলিম জাতি আজ প্রোডাক্টিভিটি, সৃষ্টিশীলতা থেকে দূরে অবস্থান করছে। ফলস্বরুপ ইসলামবিরোধী শক্তি ইসলামকে একটি আনপ্রোডাক্টিভ জীবনব্যাবস্থা হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছে। তারা ইসলামকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে কেবলই আধ্যাত্মিক বিষয় হিসেব সাব্যস্ত করছে।
অথচ আপাতদৃষ্টিতে একজন মুসলিম প্রোডাক্টিভ না হলে তার মুসলমানিত্বই ধরে রাখতে পারবে না। সামগ্রিক জীবনের আল ইসলাম সমস্ত প্রোডাক্টিভিটির আধার। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কতটা প্রোডাক্টিভ ভূমিকা নিয়ে গোটা পৃথিবীকে সাজিয়েছে।
জান্নাত হচ্ছে মানবজাতির আদি নিবাস। আমাদের আদি পিতা মাতার সৃষ্টি জান্নাতে। আমরা জান্নাতের উত্তরসূরী। জান্নাত লাভ করতে আমাদের আল্লাহর দাসত্ব অর্জন করতে হবে। পৃথিবীতে আমাদের নিকট দুটি অপশন প্রথমটি আল্লাহর দাসত্ব লাভ, অন্যটি অন্য কিছুর দাসত্ব অর্জন।স্রাাষ্টাকে রেখে সৃষ্টির দাসত্ব! আল্লাহ দাসত্ব হলে জীবনের সকল স্তরে সফলকাম হওশা সহজ, আল্লাহ ই সব সহজ করে দেন। আল্লাহর দাস হতে হলে আমাদের প্রোডাক্টিভ মুসলিম হতে হবে। প্রোডাক্টিভিটি কি? প্রোডাক্টিভ মুসলিম কিভাবে হব? উত্তর গুলো পাওয়া সম্ভব প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি তে।
Reviews
There are no reviews yet.